গুগল এডসেন্স VS এফিলিয়েট মার্কেটিং: কোনটি সব থেকে ভালো ব্লগারদের জন্য ! [ Adsense vs Affiliate Marketing In Bangla ]

গুগল এডসেন্স VS এফিলিয়েট মার্কেটিং: কোনটি সব থেকে ভালো ব্লগারদের জন্য ! [ Adsense vs Affiliate Marketing In Bangla ]
গুগল এডসেন্স VS এফিলিয়েট মার্কেটিং.


গুগল এডসেন্স VS এফিলিয়েট মার্কেটিং: কোনটি সব থেকে ভালো ব্লগারদের জন্য ! [ Adsense vs Affiliate Marketing In Bangla ] যারা নতুন আছেন তাদের মনে সব সময় এই প্রশ্নটা আসে গুগল এডসেন্স VS এফিলিয়েট মার্কেটিং কোনটি বেস্ট ?

একটি ব্লগ যখনই কেউ বানাতে চান তার সঙ্গে এটাও ঠিক  রাখার উচিত কিভাবে ব্লগকে পরবর্তীতে মনিটাইজ করতে চাইছেন, যাকে বলে মনিটাইজও একটি ব্লগের ইন্টারনাল পার্টস 


তাছড়াও, ২৫% ব্লগার তাদের নিজের ব্লগ সেটউপ করে নেন, লেখা-লেখিও শুরু করেদেন একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় ট্র্রফিকও পান, একটি জায়গায় এসে তারা স্ট্রাগেল করতে থাকেন সেটা হচ্ছে তারা জানেননা কিভাবে তাদের ব্লগ মনিটাইজ করবেন।






গুগল এডসেন্স VS এফিলিয়েট মার্কেটিং: কোনটি সব থেকে ভালো ব্লগারদের জন্য ! [ Adsense vs Affiliate Marketing In Bangla ] 

 
গুগল এডসেন্স মানে একটি কীওয়ার্ড এর CPC অনুযায়ী আপনি ইনকাম করতে পারবেন যেখানে টার্গেটেড কীওয়ার্ড এর ভলিউম যেকোনো রকমের হতে পারে কিন্তু টার্গেটেড কীওয়ার্ড সব সময় সমান CPC পাওয়া যায়না এবং বেশি ক্ষেত্রেই গুগল এডসেন্সের এডস কনটেন্টের মধ্যে দেখাযায়। 



সেখানে, এফিলিয়েট মার্কেটিং এক কোথায় ড্র্যাগ এবং ড্রপ ও সুপার ম্যানুভার আপনি যেকোনো রকমের কীওয়ার্ড টার্গেট করতে পারেন যেকোনো ভলিউমের সেখানে CPC কোনো ফ্যাক্টর না আপনি হাই ভলিউম থেকে লো ভলিউম এবং হাই কম্পিটিটিভ থেকে লো কম্পিটিটিভ যেকোনো কীওয়ার্ড হতে পারে যদি আপনার ব্লগ অথরিটি সাইট হয়ে থাকে তাহলে আপনি সহজেই রেঙ্ক করতে পারবেন এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি যত গুলি প্রোডাক্ট সেল করবেন তেমন কমিশন পাবেন।




৪ টি বড়ো সুবিধা গুগল এডসেন্সের ব্যবহার করার ? [ Benefit of Using Adsense In Bangla]


আমিও জানি আর আপনিও জানেন এডসেন্স সহজতম নাহলেও, দ্রুততম একটি পয়সা আয় করার একটি উপায় যেখানে ৯০% নতুন ব্লগার তাদের ব্লগ শুরু করার সময় নির্ভর করেন। 
 
 
আমাদের মতো ব্লগার দের কাছে এডসেন্স সব থেকে একটি বিশ্বাসযোগ্য উপায় ব্লগ থেকে পয়সা ইনকামের যেখানে আপনি যেকোনো মানের বা রকমের  ব্লগ বানান না কেনো আপনি সব সময় এডসেন্স দিয়ে মনিটাইজ করার উপায় খুঁজতে থাকেন। 
 
 
আমি নিচে ৫টি বড়ো সুবিধা বর্ণনা করলাম কেনো এডসেন্স ব্যবহার করবেন ?
 
 
 
 

১.গুগল এডসেন্স একটি দ্রুততম উপায় পয়সা আয় করার।[ Adsense vs Affiliate Marketing In Bangla] 


আপনি কি জানেন এফিলিয়াট মার্কেটিং করার জন্য আপনার যেটা দরকার প্রচুর সময় আপনি জাস্ট ২ মাস বা ৩ মাসের মধ্যে এফিলিয়েট সেল জেনারেট করতে পারবেন আর যদিও সম্ভব তাও পরিমান খুবই কম। 


আর যদি আপনার কোনো মার্কেটিং স্কিল না থাকে এফিলিয়াট মার্কেটিং না করার তাহলে আপনার সেল জেনারেট করতে অনেক সময় লাগে। 


কিন্তু, এডসেন্স এক কথায় বলতে গেলে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও তাৎপর্য পূর্ণ উপায়ে আপনি আপনার ব্লগ থেকে ইনকাম জেনারেট করতে পারেন শুন্য মার্কেটিং স্কিল ছাড়া।


আপনাকে সব সময় বেশিই মাত্রায় ট্রাফিক আন্তে হবে আপনার ব্লগে তবেই এবং সঠিক এডস কোড লাগানোর মাধ্যমে আপনি ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন। 



২.কোনো-কিছু দক্ষতা ছাড়াই আপনি এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 



বাস্তবে আপনি জানেন না ব্লগ থেকে পয়সা ইনকাম করা কঠিন হয়ে পড়তে যদি এডসেন্স না থাকতো, আজ ইন্টারনেটে অনেকেই ব্লোগ্গিং বা ইউটিউবিং করছেন। 



আপনি যদি তাদের মার্কেটিং স্কিল বা কোনো ফিল্ডের দক্ষতা দেখেন তাহলে দেখবেন জিরো তবুও তারা এডসেন্সের জন্য ভালো মানের আয় করতে পারেন। 



আমি যদি বলি একটি সঠিক অনলাইন স্কিল গড়ে তুলতে গেলে কখনো ৬ মাস থেকে ১ বছর লেগে যায় তবেই আপনি ইনকাম করতে পারেন, আর যদি এডসেন্স না থাকতো তাহলে অনেক ব্লগার আগেই আশাহত হয়ে যেতে এবং ব্লোগ্গিং ছেড়ে দিতো। 


এখন আপনি ব্লগ তৈরি এবং লেখার কিছু দিনের মধ্যে গুগল এডসেন্সের অনুমোদনও পেয়ে যান সঙ্গে আপনি এফোর্ট দেন এবং আয় করতে পারেন আর যদি অনলাইন স্কিলের আশায় বসে থাকেন তাহলে আমরা আর কখনোই ভালো, ভালো ব্লগ পোস্ট পড়ার জন্য পাবো না। 

 
 

৩.আপনার কোনো প্রোডাক্ট এর প্রয়োজন নেই। 

যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাদের ব্লগ সেটআপ করার আগে সব সময় একটি জিনিস ঠিক করতে হয় সঠিক   প্রোডাক্ট দরকার তাদের ব্লগের প্রমোট জন্য। 

কিন্তু, যখন আপনি গুগলের এডসেন্সের মাধ্যমে আপনার ব্লগ মনিটাইজ করবেন তখন এডসেন্স এগুলি  সামলে নেন এবং সব থেকে বেস্ট প্রোডাক্ট শো করান ইউসারকে। 

তাছাড়াও এডসেন্সের মধ্যে আপনি সমস্ত তাৎপর্য পূর্ণ এডস পেয়ে যাবেন আপনার কনটেন্ট অনুযায়ী তাই আপনার কোনো প্রোডাক্টের প্রয়োজন নেই। 


 

৪.সঠিক ভাবে এডসেন্সের ব্যবহার করলে এটা আপনার ফুলটাইম প্যাসিভ ইনকামের উপায় হয়ে উঠতে পারে। 


অনেকেই আছেন যারা এডসেন্স ভুল ভাবে হ্যান্ডেল করেন তাই তাদের এডসেন্স ব্র্যান্ড বা বন্ধ হবার শিকার হয় ,যদি আপনি জানেন কিভাবে এডসেন্স ব্যবহার করতে হয় তাহলে এটা আপনার একটি ফুলটাইম প্যাসিভ ইনকামের সোর্স হয়ে দাঁড়াতে পারে। 


কিছু ব্যক্তি আছেন কয়েক দশক ধরে এডসেন্স ইনকামের উপর পুরো নির্ভরশীল যেমন অমিত আগারওয়াল বা ড্যারেন রৌসে এবং যারা কয়েক মিলিয়ন টাকা ইনকাম করে ফেলেছেন তাহলে বুজতেই পারছেন এডসেন্সের সঠিক ব্যাবহার। 


অনেকেই আছেন যারা এডসেন্সের মাধ্যমে তাদের ব্লগ মনিটাইজ করলেও তারা খুব বেশি ইনকাম করতে পারেন না  শুধু ইনকাম গ্রাফের উপর নজর রাখেন, ভালো মানের হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট তৈরি দিকটা ভালো করে ফলো করেনা তাই তাদের ইনকাম লো থাকে।


যদি আপনি ভাবেন রেন্ডম ইউসার নিয়ে আসে ইনকাম করবেন তাহলে ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু সেটার পরিমান খুব কম আর আপনি যদি সঠিক কীওয়ার্ড অনুযায়ী ১০ গুন্ ভালো কনটেন্ট লিখে ট্রাফিক আনতে পারেন তাহলে প্রত্যেকটা ইউসার আপনার ব্লগে আবার রিটার্ন আসার চেষ্টা করবে। 




৪ টি বড়ো সুবিধা এফিলিয়াটে মার্কেটিং করার ? [ Benefit of Using Affiliate Marketing In Bangla]


এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সব থেকে বড়ো সুবিধা হচ্ছে আপনাকে একটি সঠিক মার্কেটিং ফানেল বানাতে হবে এবং এটার জন্য সঠিক প্ল্যান রেডি করতে হবে এবং যখনি ট্রাফিক আস্তে শুরু করবে আপনার পোস্ট পড়বে এবং তাদের সুবিধা মতো তারা আপনার থেকে কিছু প্রোডাক্ট কিনতে পারে। 


আমি মনে করি এফিলিয়াটে মার্কেটিং করার সব থেকে বড়ো সুবিধা এডসেন্সের উপর কোনো সময় ভয় থাকবে না আপনার সঠিক প্রোডাক্ট ওনার খুঁজে পাবার যেখানে এডসেন্সের সঙ্গে ভয় থাকে আপনার একাউন্ট অফ হবার বা ব্যান্ড হবার। 


নিচের বিস্তারিত পড়ুন আরো ৪ টি কারণ বুজতে পারবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করার আরো সুবিধা। 



১.খুব বেশিই ট্রাফিকের প্রয়োজন নেই আয় করার জন্য।


যারা এডসেন্সের উপর খুব নির্ভরশীল তারা জানেন ভালো মানের ইনকাম জেনারেট করতে গেলে আপনাকে খুব বেশিই পরিমান ট্রাফিক আন্তে হবে আর যদি না পারেন তাহলে আপনার আয় ড্রপ করবে এই একই ভয় আমিও পাই। 

তাই আমি সব সময় চেষ্টা করি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ট্রাফিক আনার যদি একটি মাধ্যম হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ট্রাফিক আসা তাহলে অন্য মাধ্যম গুলি দিয়ে ট্রাফিক আসবে। 

আর আপনি যদি এফিলিয়াটে মার্কেটিং করেন তাহলে দেখবেন আপনি ১০০০ থেকে ২০০০ ট্রাফিকেই ভালো মানের ইনকাম করতে সক্ষম হবেন যেখানে এডসেন্সের জন্য এটা মান্থলি ৫০,০০০ থেকে ১০০,০০০ ট্রাফিক দরকার। 


এফিলিয়াটে মার্কেটিং করে যেমন আপনিও বেনিফিট পান তেমনি আপনার অডিয়েন্সও খুব বেশি বেনিফিট পায় কিভাবে যদি আপনি সঠিক প্রোডাক্ট বাছাই করেন তাহলে আপনি ভালো মানের কমিশন পাবেন সঙ্গে আপনার অডিয়েন্স সঠিক সমাধান পাবে যেখানে আপনি আর আপনার অডিয়েন্সের আরো রিলেশন বাড়বে। 





২.প্রথমে আপনার বিশ্বাস তৈরি করুন প্রোডাক্ট নিজেই থেকেই বিক্রি হবে। 


এখানেই আপনি বা আমি ভয় পাই কিভাবে অডিয়েন্সের মাঝে শুন্য বিশ্বাস থেকে পুরো বিশ্বাস গড়ে তুলবো কত দিন সময় লাগবে এই বিশ্বাস গড়তে তখনকি আমি ইনকাম করতে পারবো। 

যদি আমি এই ডট টিকে আপনার ইনকাম না হবার সঙ্গে যুক্ত করেন তাহলে দেখবেন আপনি ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন।  

পেট ফিলিন যিনি তার ব্লগের মাধ্যমে মান্থলি $100,000 ইনকাম করতে পারেন এফিলিয়াটে মার্কেটিং এর মাধ্যমে 


আপনি যদি দেখেন পৃথিবীর ৯০% পপুলার ব্লগার যারা ফুল-টাইম ব্লগিং করছেন তাদের প্রধান আয়ের উত্স হচ্ছে এই এফিলিয়েটে মার্কেটিং কারণ তাদের লং টার্ম প্রসেসে তারা মানুষের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তাই তারা সহজে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে সক্ষম হন। 



৩.সমস্ত অনুমোদন থেকে মুক্ত বা [BE YOUR OWN BOSS]


আপনার কারোর সাহায্যের প্রয়োজন নেই যদি আপনি মার্কেটে একটি সঠিক বিশ্বাস তৈরি করতে সক্ষম হন, তখন আপনাকে প্রোডাক্ট সেল করতে হবে না প্রোডাক্ট অটো পাইলট মোডে সেল হতে থাকবে  যেটাকেই আমরা বলি BE YOUR OWN BOSS !


যদি আপনি গুগল এডসেন্স উপর নির্ভরশীল হন তাহলে আপনি জানেন আপনাকে প্রথমে গুগল এডসেন্স টিমের থেকে আপনাকে অনুমোদন নিতে হয় যেখানে এফিলিয়াটে মার্কেটিং অনুমোদন খুবই সহজ এবং বেনিফিট বা এবং আয় দুটোই খবু বেশিই হয়। 


এখানেই আপনি বুজতে পারছেন যদি গুগল এডসেন্স VS এফিলিয়েট মার্কেটিং কম্পেটিশন হয় তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং ভালো করে উইনার হবে। 


তাছাড়াও, যদি একটু ভালো মানের ব্লগ আপনার থাকে ভালো ডিজাইনের সঙ্গে ও কনটেন্টের সঙ্গে এবং সঠিক প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারেন তাহলে এককথায় বলা যায় যাকে UNSTOPPABEL .





৪.খুবই তাৎপর্য পূর্ণ প্রোডাক্ট আপনি প্রমোট করতে পারবেন। 


জাস্ট এটা একবার ভেবে দেখবেন যখন আপনি এমন কিছু কীওয়ার্ড টার্গেট করে কনটেন্ট লিখছেন যেগুলির শুরু  সস্তা, বেস্ট,নিউ বা ভালো ইত্যাদি এবং প্রমোশনাল কীওয়ার্ড টার্মস আছে যেমন সস্তা চিয়ার-টেবিল বা বেস্ট হেডফোন বা নিউ স্টাইল জিন্স ইত্যাদি।
 
যদি এই কীওয়ার্ড গুলির মাধ্যমে ট্রাফিক আসে এবং সঠিক প্রোডাক্ট আপনার সন্ধান থাকে এবং প্রমোট করতে পারেন সঠিক কৌশলের সঙ্গে তাহলে আপনিও সেল করতে পারবেন কারণ যেসব মানুষ এগুলির অনুসন্ধান করছেন কেনার জন্য বা আগামীতে কিনবে ঠিক করছেন বা ফাইনাল রিসার্চ সারছেন। 


আপনি তাদের নিড বা প্রয়োজন বুজছেন এবং তাদের একটি সমাধান অফার করছেন সেটা প্রোডাক্ট বিক্রির মাধ্যমেই হোক বা খালি টেক্সটের মাধ্যমে এই রেলেভেন্সি বা তাৎপর্য পূর্ণ প্রোডাক্টের জন্য আপনার সেল বাড়তে পারে সহজেই। 
 

কিন্তু যদি আপনার ব্লগ গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজ করা থাকে এবং আপনি এই সমস্ত কীওয়ার্ড টার্গেট করেন এবং ট্র্রফিকও পান তাহলেও রিলেভেন্ট এডস না দেখানোর জন্য আপনার সেল বা আয় কখনোই বাড়বে না তাই একটাই কারণে এফিলিয়েট মার্কেটিং সব সময় বেস্ট গুগল এডসেন্সের থেকে। 



Load comments